ইমিগ্রেশন নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে গতকাল শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বৈধভাবে ব্রিটেনে আসার পথ অনেকটাই রুদ্ধ করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন হোয়াইট পেপারে বলা হয়েছে, এখন থেকে ওয়ার্ক পারমিটে ব্রিটেনে আসতে গেলে নিজ দেশে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হতে হবে। এ ছাড়া ইংরেজি ভাষা দক্ষতায় এ লেভেল স্ট্যান্ডার্ডের ইংরেজি জানা থাকতে হবে, অর্থাৎ অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে। ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হচ্ছে, এখন থেকে কেয়ার ভিসা সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। ফলে কোনো কেয়ার এজেন্সি আর ব্রিটেনের বাইরে থেকে কোনো কেয়ার ওয়ার্কার রিক্রুট করতে পারবে না।
ব্রিটেনে স্থায়ী হওয়ার ক্ষেত্রে আগে পাঁচ বছর ওয়ার্ক পারমিটে থাকলেই চলত, এখন সেটা ১০ বছর মেয়াদি করা হবে। অর্থাৎ ১০ বছর ওয়ার্ক পারমিটে থাকলে ব্রিটেনে স্থায়ী হওয়ার আবেদন করা যাবে। নতুন আইনে ব্রিটেনে স্টুডেন্ট ভিসায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান স্পনসর করে, তাদের জন্য নির্ধারিত শর্ত আরও কঠোর করব। যেসব ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠান তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ার কাছাকাছি রয়েছে, তাদের জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে- যেমন একটি ‘অ্যাকশন প্ল্যান’-এ রাখা হবে, যাতে তারা নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য হয়। সেই সময়ে তারা কতজন নতুন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী নিতে পারবে, তাতেও সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হবে। তিনি আরও বলেন, পড়াশোনা শেষে গ্র্যাজুয়েটদের যুক্তরাজ্যে থাকার মেয়াদ কমিয়ে ১৮ মাস করা হবে। বর্তমানে ব্রিটেনে একজন স্টুডেন্ট গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ২৪ মাসের ফুল টাইম কাজের পারমিশন পান। স্যার কিয়ার স্টারমার জাতির উদ্দেশে রাখা ভাষণে বলেন, এই নীতিগুলো সরকারের পরিবর্তনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমান সংসদীয় মেয়াদেই বাস্তবায়ন করা হবে, যার প্রথম ধাপ আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চালু হবে।