মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের দলই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো (পুশইন) ১৫ জনকে আটকের দুই দিন পর কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল দুপুরে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বুধবার ভোরবেলা দলই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ‘পুশইন’ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বিজিবি সদস্যরা। আটকের পর তাদের দলই সীমান্তের সিপাহি হামিদুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে দুই দিন রাখা হয়। বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ১৫ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা বাংলাদেশের নাগরিক। কয়েক বছর ধরে তারা ভারতের আসামে বসবাস করছিলেন। ভারতীয় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে জেলে পাঠায়। পরে তাদের সীমান্ত এলাকায় নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। পরে বিএসএফ তাদের সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। শুক্রবার আটক ১৫ জনকে থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি। তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। আটকদের মধ্যে ১০ জন নড়াইল জেলার, তিনজন খুলনা জেলার ও দুজন বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা। আটকরা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া থানা এলাকার সুমন শেখ (৩৪), হাবিবুর (৪০), রাজিব শেখ (২৭), তার স্ত্রী সারমিন বেগম (২২), তাদের দুই ছেলে জুবায়ের শেখ (৪) ও ইয়াসিন শেখ (২), রফিকুল মোল্লা (৫৮), আবদুল সাত্তার মোল্লা (২৪), নড়াগাতি থানার তুষার আলী মীর (২৮), খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার তরিকুল শেখ (২৪), তার স্ত্রী শান্তা শেখ (২৪), ছেলে মোহাম্মদ শেখ (৪), মেয়ে সুমাইয়া শেখ (৮), বাঘেরহাট জেলার রামপাল থানার হারিনা শেখ (৩০) ও তার ছেলে আবু হুরায়রা (৭)।