ভোলার তজুমদ্দিনে স্বামীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের মামলার দুই আসামি যুবদল নেতা আলাউদ্দিন ও উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর ৪ নম্বর আসামি ছাত্রদল নেতা রাসেলকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাসেলসহ এই মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মামলার দুই নাম্বার আসামি মো. ফরিদ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তজুমদ্দিন থানার ওসি মোঃ মহব্বত খান ।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত ২৯ জুন তজুমদ্দিন উপজেলায় একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন একটি থানায় মামলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে মামলার দুই নম্বর আসামি মোঃ ফরিদ উদ্দিনকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও প্রধান আসামি আলাউদ্দিনকে বুধবার রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তজুমদ্দিন থানার ওসি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবি পুলিশ মামলার ৪ নম্বর আসামি রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়।
এছাড়াও এর আগে সোমবার মামলা হওয়ার পরপরই ৩ নম্বর আসামি ভিকটিমের সতিন ঝর্ণা বেগমকে গ্রেফতার করে তজুমদ্দিন থানার পুলিশ। বুধবার দুপুরে র্যাব সদস্যরা মামলার ৫ নম্বর আসামি মানিককে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ পর্যন্ত মামলার ৭ আসামির মধ্যে মোট ৫ জন গ্রেফতার হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ