রাজধানীতে আলাদা তিনটি ঘটনায় গৃহকর্মীসহ তিনজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক কিশোরী গৃহকর্মী, একজন যুবক ও একজন মধ্যবয়স্ক পুরুষ।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে যাত্রাবাড়ীর শেখদী, মাতুয়াইল উত্তরপাড়া এবং মুগদার মানিকনগর এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন বৃষ্টি আক্তার ইয়াসমিন ওরফে পুতুল (১৬), কাউসার হোসেন রাজু (২৮) ও মো. নাদিম (৩৬)।
তাদের প্রত্যেকের মরদেহ ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ঘটনা তিনটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হলেও পুলিশ বলছে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ীর শেখদী স্কুল রোড সংলগ্ন এক বাসার নিচতলা থেকে বৃষ্টি আক্তার (১৬) নামের এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই বাসার গৃহকর্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জানিয়েছেন- বৃষ্টি তাদের বাসায় কাজ করতো। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের কক্ষে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ও গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। কী কারণে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি, বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। বৃষ্টি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা থানার অটলটিলা এলাকার বাবুল মিয়ার কন্যা।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ীর মতুয়াইল উত্তর পাড়ার এক বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় কাউসার হোসেন রাজু (২৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি কী কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বিষয়টি আমরা জানতে পারিনি, বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। রাজুর কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার খাইরুল পোদ্দারে বাড়ির মফিদুল ইসলামের ছেলে।
মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাইয়ুম বাহাদুর বলেন, মানিকনগরের প্রফেসর গলির এক বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মো. নাদিম (৩৬) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নাদিম মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি। তাছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ