গাজীপুরে বাসার গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজনেরই মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে মারা যায় তানজিলা (১০) নামে এক শিশু। গতকাল জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, তানজিলার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত ১১টায় সে মারা গেছে। এই ঘটনায় তানজিলার মা চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েকদিন আগে মারা যান। তিনি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। একই ঘটনায় পাঁচজন দগ্ধ একে একে সবাই মারা গেলেন। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় একটি বাসায় এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ হন- তাসলিমা আক্তার (৩০), তাসলিমার মেয়ে তানজিলা (১০), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সিমা (৩০), পারভিন (৩৫) ও পারভিনের দেড় বছরের ছেলে আইয়ান। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী রোমান জানান, সন্ধ্যায় বাসাটিতে রান্না করছিলেন আইয়ানের মা পারভিন। তখন বাসার গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মঞ্জু টেক্সটাইল মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার রাত পৌনে ৩টায় মারা যান হান্নান (৫২)। তার শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় মারা যান কবির (৪৫)। তার শরীরের ৫৩ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, গত ১ মে সকাল সাড়ে ৮টায় রূপগঞ্জের রূপসী কাজীপাড়ায় মঞ্জু টেক্সটাইল মিলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে দগ্ধ হন- সিকিউরিটি গার্ড কবির (৪৫), হান্নান (৫২), অ্যাকাউন্টস অফিসার সাইফুল ইসলাম (৩২) এবং সাইফুল (২৮)।