পবিত্র ঈদুল ফিতরে বগুড়ায় প্রায় শতকোটি টাকার দই-মিষ্টি বেচাকেনা হয়েছে। মিষ্টান্ন হিসেবে দেশের সবচেয়ে বড় বাজার এখন বগুড়ার সরার দইয়ের। বগুড়ায় তৈরি দই-মিষ্টি স্বাদেমানে ও গুণের কারণে প্রতিদিন বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বিক্রি হয়ে থাকে। শুধু দইকে কেন্দ্র করেই বগুড়া পেয়েছে নতুন পরিচিতি। বগুড়াকে এখন দইয়ের শহরও বলা হয়। স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় এ জেলার দই অনেক জনপ্রিয়। এ কারণে দেশ-বিদেশে চাহিদা প্রচুর। জানা যায়, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত মানুষ বগুড়ায় তাদের নিজ বাড়িতে ছুটে এসেছেন। পরিবারপরিজন নিয়ে ঈদ উদ্যাপন করছেন। তাই ঈদের সপ্তাহজুড়ে প্রায় শত কোটি টাকার দই-মিষ্টি বেচাকেনা হয়েছে। শুধু বগুড়ার ক্রেতারাই নয় এ জেলায় যারা বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন তারাও আপনজনদের জন্য দই-মিষ্টি কিনে নিয়ে গেছেন। এ ছাড়া আত্মীয়তার বন্ধন আরও গভীর করতে একে অপরের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন বগুড়ার দই ও মিষ্টি। অনেকে উপহারও পাঠাচ্ছেন। বগুড়ার শাজাহানপুর এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি আফসার আলী মণ্ডল জানান, ১৮৬০ বা ১৮৭০ সালের দিকে প্রথম দই উৎপাদন শুরু হয়। তবে বগুড়ায় দইয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল তারও অনেক পরে। বগুড়া শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলার এক ঘোষ পরিবারের গৌর গোপাল পাল দই তৈরি শুরু করেন। বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী নবাব পরিবার ও সাতানী পরিবারের কাছে এ দই সরবরাহ করতেন তিনি। সে সময়ে এ দইয়ের নাম ছিল নবাববাড়ির দই। নবাবি আমলে বিশেষ খাবার ছিল এই দই। ধীরে ধীরে সবার জনপ্রিয় হয়ে ওঠে গৌর গোপালের দই। পরে তিনি বগুড়া শহরে ব্যবসা শুরু করেন। এখনো প্রায় সব পরিবারেই বিশেষ খাবার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে দই। স্বাধীনতার পর বগুড়ায় দই তৈরিতে গৌর গোপালের পাশাপাশি মহরম আলী ও বাঘোপাড়ার রফাত আলীর নাম ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় শহরে ঘোষদের ছোট ছোট দোকান থাকলেও তখন ফেরি করেই দই বিক্রি হতো। আর এখন বগুড়ার শেরপুর উপজেলায়ই রয়েছে ১০০টি দই-মিষ্টির শোরুম। আর জেলার ১২টি উপজেলায় রয়েছে প্রায় ৮০০টি দোকান। বগুড়া শহরে রয়েছে প্রায় শতাধিক দোকান। বগুড়ার এসব দইয়ের রয়েছে আবার বাহারি নাম ও দাম। ঈদে বগুড়ার চিনিপাতা দই/মেজবান দই ৩৬০ টাকা, স্পেশাল দই ৩৪০, সাদা সরা দই ৩২০, টকদই বড় ২০০, হাঁড়ি দই ৬০০, টক হাঁড়ি দই ৫৫০, ক্ষীরসা সরা দই ৭০০, বোরহানি দই ২ হাজার ৫০০, মজলিদ দই ২ হাজার ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। বগুড়া শ্যামলী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জামিল খান জানান, ঈদ ঘিরে দই-মিষ্টির চাহিদা প্রচুর। বেচাকেনা ভালো হয়েছে। বগুড়ার দই দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দই-মিষ্টি ব্যবসায়ী রিংকি সুইটসের প্রোপাইটর শ্যামল বসাক জানান, ঈদে দই-মিষ্টি বিক্রি বেড়েছে। আমাদের শোরুমে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
শিরোনাম
- একটি গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতেই এই আন্দোলন : ইশরাক
- রাশিয়ার ভয়ঙ্কর হ্যাকিং ইউনিট নিয়ে যে তথ্য দিল যুক্তরাজ্য
- লঞ্চে প্রকাশ্যে দুই তরুণীকে মারধর, প্রধান আসামি জিহাদের জামিন নামঞ্জুর
- চাঁদাবাজির অভিযোগে মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতা গ্রেফতার
- সাম্য হত্যাকাণ্ডে আরও তিনজন গ্রেফতার
- আন্দোলনে একাত্মতা জানাতে কাকরাইলে ইশরাক
- ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের ১২ অঙ্গরাজ্য
- রাজবাড়ীতে বালুবোঝাই ট্রাকচাপায় নিহত ২
- দু’একদিনের মধ্যে দায়িত্ব ছাড়বেন পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন
- ছত্তিশগড়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ, নিহত ২৭
- আইপিএলে বৃষ্টির আশঙ্কায় নতুন নিয়ম চালু
- পাকিস্তানে স্কুলবাসে বোমা হামলা, নিহত ৫
- বিজিএমইএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা
- বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকেট অনলাইনে
- ইউক্রেনীয় সেনা হটানোর পর প্রথমবার কুরস্ক পরিদর্শনে পুতিন
- পাকিস্তান সফর থেকে নাম সরিয়ে নিলেন নাহিদ রানা
- ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৬
- শিল্পে বিনামূল্যে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সূচি প্রকাশ
- বরগুনায় যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশ:
০০:০০, শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল, ২০২৫
আপডেট:
০১:১৮, শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল, ২০২৫
শতকোটি টাকার বাণিজ্য বগুড়ার দই-মিষ্টিতে
আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর