এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে শিক্ষক-কর্মচারীদের পদযাত্রা গতকাল পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে গেছে। পরে আন্দোলনকারীরা শিক্ষা ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভের ফলে হাই কোর্ট থেকে সচিবালয় অভিমুখী রাস্তা বন্ধ হয়ে আশপাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ১টার দিকে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করলে শিক্ষক-কর্মচারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে শিক্ষা ভবনের সামনের রাস্তা ছাড়েন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আন্দোলনকারীরা এরপর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বেসরকারি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ দাবির আন্দোলনে গতকাল ১৪তম দিন পার করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের এই টানা কর্মসূচি চলছে। এদিকে প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্তি দাবিতে আন্দোলন চলছে সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদেরও। গতকাল তারা তৃতীয় দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন।
আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক জোটের সদস্যসচিব প্রিন্সিপাল দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, আমাদের মার্চ টু সেক্রেটারিয়েট কর্মসূচিতে পুলিশ বিনা উসকানিতে ফ্যাসিবাদী কায়দায় আক্রমণ করে শিক্ষকদের পিটিয়েছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাসে ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন, যা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অমানবিক। শিক্ষক নেতারা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি কর্মচারীদের মতো একই হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার ঘোষণা দিতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতার ঘোষণা দিতে হবে।