ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া ২৮ দফার শান্তিচুক্তি নিয়ে জেনেভায় চলমান আলোচনায় “অসাধারণ অগ্রগতি” অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তবে তিনি বলেন, “এখনও কিছু কাজ বাকি আছে”। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তির সব দফা চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের স্থানীয় সময় গত রবিবার রাতে বৈঠক শেষে রুবিও সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আলোচনায় ইউক্রেন ও ইউরোপের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং ন্যাটোর ভূমিকা কী হবে, সে বিষয়ে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। তবে তার দল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রস্তাবিত ২৮ দফার অমীমাংসিত অনেক বিষয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনতে পেরেছে।
রবিবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুবিও বলেন, জেনেভার আলোচনায় “খুব ভালো একটি দিন কেটেছে।”
তিনি জানান, ২৮ দফার মার্কিন শান্তি পরিকল্পনায় যেসব ইস্যু খোলা রয়ে গেছে, সেগুলোতে ফারাক কমানোই ছিল প্রধান লক্ষ্য—এবং দলগুলো “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” অর্জন করেছে।
তবে তিনি স্পষ্ট করেন, যেকোনো চূড়ান্ত চুক্তি অনুমোদন করতে হবে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের, এরপর তা রাশিয়ার কাছে পাঠানো হবে। এখনও কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
রবিবার পরে প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্র–ইউক্রেনের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই পক্ষ একটি “হালনাগাদ ও পরিমার্জিত শান্তি কাঠামো” নিয়ে একমত হয়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে যৌথ প্রস্তাব নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
ইউরোপের কয়েকটি দেশ—যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির নেতৃত্বে—বিকল্প একটি শান্তি পরিকল্পনা তৈরি করেছে বলে কিছু গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। তবে বিবিসি তা দেখেনি এবং রুবিওও এমন কোনো পরিকল্পনার অস্তিত্ব অস্বীকার করেন।
এর আগে রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ-সমাপ্তির প্রচেষ্টার জন্য “কোনো কৃতজ্ঞতা দেখাচ্ছে না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইউরোপ—যারা ইউক্রেনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র—এখনো রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। রাশিয়া তার তেল-গ্যাস রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত আয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজিম