যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে চীনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা আপাতত স্থগিত করেছে। রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার একাধিক বাণিজ্যিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার যুদ্ধে অর্থায়নের অভিযোগ তুলে ট্রাম্প প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা দেয়, যার লক্ষ্য মস্কোকে আর্থিকভাবে চাপে ফেলা। অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা মানতে গিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতও।
রাশিয়ার প্রধান দুটি ক্রেতা—চীন ও ভারতের তেল আমদানি কমে গেলে মস্কোর রাজস্বে বড় ধাক্কা লাগতে পারে। পাশাপাশি, বিশ্বের শীর্ষ তেল আমদানিকারক দেশগুলো বিকল্প সরবরাহ খুঁজতে বাধ্য হবে, যা বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রয়টার্সের সূত্র জানিয়েছে, চীনের চারটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি—পেট্রোচায়না, সিনোপেক, সিএনওওসি ও ঝেনহুয়া অয়েল—অন্তত স্বল্পমেয়াদে সমুদ্রপথে রুশ তেল কেনা বন্ধ রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এরই মধ্যে সিনোপেকের ট্রেডিং শাখা ইউনিপেক গত সপ্তাহে রুশ তেল কেনা বন্ধ করেছে, যখন যুক্তরাজ্য রসনেফট ও লুকওয়েলসহ ‘শ্যাডো ফ্লিট’ জাহাজ এবং কয়েকটি চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/সুজন