পূর্ব আফগানিস্তানে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে রবিবার মধ্যরাতের ঠিক আগে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে, যাকে বিজ্ঞানীরা অগভীর ভূমিকম্প বলে থাকেন।
সরকারি হিসাবে, এতে অন্তত ৮০০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২৫০০ জন। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় আরও কয়েকটি আফটারশক আঘাত হানে। ভঙ্গুর ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ধসে পড়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুত।
অগভীর ভূমিকম্প কেন বেশি ক্ষতি করে
ভূমিকম্পের শক্তি বা ম্যাগনিচিউড একই হলেও, এর গভীরতা ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অগভীর ভূমিকম্প (০–৭০ কিমি গভীর) মাটির কাছাকাছি ঘটে বলে এর কম্পন সরাসরি ঘরবাড়ি ও মানুষের উপর আঘাত হানে। গভীর ভূমিকম্পের (৭০–৭০০ কিমি) শক্তি পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পৌঁছাতে অনেকটাই ক্ষয় হয়ে যায়।
ফলে অগভীর ভূমিকম্পের ধ্বংসাত্মক প্রভাব তুলনামূলক অনেক বেশি।
আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল
আফগানিস্তান বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত। ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে গঠিত হিন্দুকুশ পর্বতমালা প্রায়শই প্রচণ্ড ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হয়।
হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাঝারি থেকে গভীর ভূমিকম্প দেখা গেলেও সুলায়মান রেঞ্জ ও মেইন পামির থ্রাস্ট এলাকায় ভূমিকম্পগুলো সাধারণত অগভীর এবং সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী হয়।
১৯৯১ সালের পর থেকে আফগানিস্তানের বহু অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবারও অগভীর ভূমিকম্পের তীব্র কম্পনে বহু ঘরবাড়ি মাটির সাথে মিশে গেছে।
সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল