চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় মুক্তা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের পলিয়ার পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মুক্তা ওই এলাকার নদ্দিয়ার বাড়ির মো. পারভেজের স্ত্রী। এই ঘটনার পর নিহতের স্বামী পারভেজ ও শাশুড়ি জাহানার খাতুন পলাতক রয়েছেন।
মুক্তার চাচাতো ভাই সাজ্জাদ হোসেন জানান, ২০১৯ সালে সামাজিকভাবে মুক্তা ও পারভেজের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর পারভেজ ওমানে চলে যান। তাদের সংসারে আড়াই বছরের এক পুত্র সন্তান আসে। তিন মাস আগে পারভেজ আবারো দেশে আসেন। মুক্তা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
সাজ্জাদ অভিযোগে করেন, প্রবাসে সমস্যার কথা জানিয়ে পারভেজ মুক্তার বাবা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। সম্প্রতি আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় স্বামী-শাশুড়ি মিলে মুক্তাকে নির্যাতন করেছেন। এরপর কিছু ট্যাবলেট খেতে দেন। সেগুলো খাওয়ার পর মুক্তা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরে বাবার পক্ষের লোকজন গিয়ে মুক্তাকে দোহাজারী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিতে বলেন। চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে রওশনহাট এলাকায় মুক্তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার জানান, মুক্তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় মুক্তার বাবা নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ