মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্ব আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার মুখে নেই। রেডিও উপস্থাপক মার্ক লেভিনকে দেওয়া এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে বুধবার ট্রাম্প বলেন, এ বছরের শুরুতে দায়িত্ব নেওয়ার সময় ইউক্রেন সংঘাত উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল এবং সেটি সরাসরি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে।
ট্রাম্প বলেন, এখন আর আপনাদের সে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। এটা ভালো দিক। মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যদিও সংঘাতের চূড়ান্ত সমাধান কীভাবে আসবে তা এখনো স্পষ্ট নয় বলেও তিনি স্বীকার করেন।
ট্রাম্পের অভিযোগ, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করার প্রচেষ্টায় রাশিয়ার যৌক্তিক উদ্বেগ উপেক্ষা করেছিলেন, যা সংঘাতকে উস্কে দিয়েছিল। তাঁর মতে, বাইডেন প্রশাসনের আমলে ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্ক ইতিহাসের নিম্নতম পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
দাায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে ভিন্নধর্মী কূটনৈতিক পথ অবলম্বন করেছেন। তিনি মস্কোর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনার চ্যানেল পুনরায় চালু করেছেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন।
গত সপ্তাহে আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউক্রেন যুদ্ধে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তেজনা ছড়ানোর পর থেকে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে এটিই প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় কয়েকজন নেতা ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আলোচনাকে খুব ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প বলেন, এর ফলে একটি সম্ভাব্য সমঝোতার পথ আরও বাস্তবসম্মত হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট জানান, অবশেষে টানেলের শেষে আলোর ঝলক দেখা যাচ্ছে এবং একটি স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
রাশিয়া বরাবরই দাবি করে আসছে যে ইউক্রেন সংঘাত মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর পরিচালিত একটি প্রক্সি যুদ্ধ। মস্কো সতর্ক করেছে, ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা পাঠানো হলে তা বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে পুতিনসহ রুশ কর্মকর্তারা ট্রাম্পের আন্তরিক শান্তি প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল