খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রবেশপথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জটলা ভোগান্তি তৈরি করছে। এতে রোগী, চিকিৎসক, কর্মচারী ও রোগীর স্বজনদের গেট দিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। অপর্যাপ্ত পার্কিং, আইন অমান্য ও নজরদারির অভাবকে দুষছেন ভুক্তভোগীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর সোনাডাঙ্গা-বয়রা রোডে হাসপাতাল গেটের সামনে যত্রতত্র পার্কিং, যাত্রী ওঠানো-নামানো ও অটোরিকশার জটলায় ভয়াবহ যানজট তৈরি হচ্ছে। সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা অটোরিকশাকে পাশ কাটিয়ে কোনোমতে হাসপাতালে ঢুকছেন বা বের হচ্ছেন। রোগী নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে ঢুকতে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীর স্বজন ইলিয়াছ হোসেন জানান, যাত্রী ওঠানো-নামানোর জন্য গেট বন্ধ করে ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকে। ওষুধ বা খাবার কিনতে রোগীর স্বজনদের হাসপাতাল থেকে বের হতে বিপাকে পড়তে হয়। তবে অটোরিকশা চালকদের দাবি, খুলনা শহরে নিবন্ধনকৃত অটোরিকশার বাইরে আরও কয়েকগুণ বেশি অটোরিকশা চলাচল করে। ট্রাফিক পুলিশের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ও যত্রতত্র গাড়ি রাখায় ভোগান্তি বাড়ছে। স্থানীয়রা বলেন, হাসপাতালের সামনে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে ব্যাহত হয়। অটোরিকশা সারিবদ্ধ চলাচলের জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী ও অটোরিকশা সমিতির পক্ষ থেকে দুজন লোক নিযুক্ত করলেও চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠলে তা বন্ধ হয়ে যায়।
নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, গেট বন্ধ করে যেন অটোরিকশা দাঁড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তিনি হাসপাতালে প্রবেশপথে বিড়ম্বনার সমাধানে ট্রাফিক বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নজরদারির আহ্বান জানান।
তবে অটোরিকশা চালকদের দৌরাত্ম্যে ভোগান্তির কথা জানালেন খুমেক হাসপাতাল পরিচালক ডা. মহসিন আলী ফরাজী। তিনি বলেন, মাঝে হাসপাতালের পক্ষ থেকে একজনকে ভলেন্টিয়ার হিসেবে যানজট নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু অটোরিকশা চালকদের দৌরাত্ম্যে সে হতাশ হয়ে ফিরে গেছে। এ ব্যাপারে সমন্বয় সভায় আলোচনা করলে দ্রুত হাসপাতাল গেটে ট্রাফিক পুলিশ নিযুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশ।