জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হলে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করবে বলে সতর্ক করেছে ইরান।
দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে।
বিবৃতিতে ইরান সতর্ক করে বলেছে, জাতিসংঘ আরোপিত নিষেধাজ্ঞা যদি আবার কার্যকর করা হয়, তবে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে তাদের সহযোগিতা কার্যত স্থগিত হয়ে যাবে।
গত মাসে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য ৩০ দিনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাদের অভিযোগ, তেহরান ২০১৫ সালে বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির শর্ত মানছে না। ওই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখা।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ঘোষণা করেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হলেও ইরান তা অতিক্রম করতে সক্ষম হবে। নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার স্থায়ীভাবে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘স্ন্যাপব্যাকের মাধ্যমে তারা পথ রুদ্ধ করতে চেষ্টা করে, কিন্তু মস্তিষ্ক ও চিন্তাশক্তিই নতুন পথ তৈরি করে। তারা আমাদের থামাতে পারবে না। তারা নাতাঞ্জ কিংবা ফোর্ডোতে আঘাত করতে পারে, যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল জুনে করেছিল, কিন্তু তারা জানে না যে নাতাঞ্জ মানুষই গড়েছিল এবং আবার গড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কখনো অতিরিক্ত দাবির মুখে আত্মসমর্পণ করব না, কারণ পরিস্থিতি পরিবর্তনের শক্তি আমাদের হাতে আছে।’
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ইরান ও আইএইএ জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাসহ কয়েকটি স্থানে পুনরায় পরিদর্শন চালানোর বিষয়ে তারা সমঝোতায় পৌঁছেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া কার্যকর হলে ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ও পুনঃপ্রক্রিয়াকরণে নিষেধাজ্ঞা, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা, বৈশ্বিক সম্পদ জব্দ এবং ইরানি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হবে। তথ্যসূত্র: মেহের
বিডি প্রতিদিন/নাজিম