ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলে সব ধরনের অস্ত্র রপ্তানি, আমদানি ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্লোভেনিয়া। এই সিদ্ধান্তের ফলে স্লোভেনিয়ার ভূখণ্ড দিয়ে ইসরায়েলমুখী কোনো সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম পরিবহন করা যাবে না।
স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গাজার মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেই কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না, যার পেছনে রয়েছে অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য ও ঐক্যহীনতা।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংঘাতের কারণে তারা ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকেই ইসরায়েলে সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম রপ্তানির জন্য কোনো অনুমতিপত্র দেয়নি। গাজায় মানুষ মরছে, কারণ তাদের মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে অস্বীকার করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক দায়িত্বশীল রাষ্ট্রের এগিয়ে আসা উচিত।
এর আগে জুলাই মাসের শুরুতে স্লোভেনিয়া দুজন ইসরায়েলি মন্ত্রীকে দেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। তাদের বিরুদ্ধে "ফিলিস্তিনিদের ওপর চরম সহিংসতা এবং গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে উসকানি" এবং "গণহত্যামূলক বক্তব্যের" অভিযোগ আনা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুন মাসে স্লোভেনিয়ার সংসদ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি ডিক্রি পাস করে। আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেনের মতো দেশগুলোর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছিল।
সূত্র : আলজাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ