বিভিন্ন দেশের ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসীকে বহিষ্কার করেছে কুয়েত।
অবৈধভাবে বসবাস ও শ্রম আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের অবৈধ বাসিন্দা, শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসীকে কুয়েত থেকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানে কুয়েতের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়েছিল। বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পলাতক মামলায় অভিবাসী, হকার, ভিক্ষুক এবং বসবাস ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন তারা।
এছাড়া মদ্যপান, মাদক বা মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার সম্পর্কিত অপরাধের জন্যও গ্রেফতার করা হয়েছিল অনেককে, জনস্বার্থে তাদেরও নির্বাসন দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানে আটককৃতদের নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়াটি সাধারণত দ্রুত হয়। বেশিরভাগ বহিষ্কৃত ব্যক্তি তাদের গন্তব্য এবং ফ্লাইটের প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রস্থান সম্পন্ন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বহিষ্কৃতদের আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের নাম স্থায়ীভাবে ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে তারা আগামীতে আর কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন না।
জানা গেছে, কুয়েতে ভিক্ষাবৃত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। তবুও প্রতিবছর রমজান মাস এলেই কিছু বিদেশি নাগরিক এই নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। গত রমজানে কুয়েত প্রশাসন ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে বিভিন্ন দেশের ৬০ জন পুরুষ ও নারীকে আটক করে। তদন্ত শেষে তাদের সবাইকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছে, ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে নিরাপত্তা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে। সূত্র: আরব টাইমস কুয়েত
বিডি প্রতিদিন/একেএ