অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় এয়ারলাইন্স কান্তাস (Qantas) সম্প্রতি একটি বড় সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এতে প্রায় ৬ মিলিয়ন গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এটি দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ডেটা হ্যাকিংয়ের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে কান্তাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটি তৃতীয় পক্ষের কাস্টমার সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম হ্যাক করে হ্যাকাররা গ্রাহকের নাম, ইমেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর, জন্মতারিখ এবং ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার নম্বরের মতো সংবেদনশীল তথ্য চুরি করেছে।
কান্তাস আরও জানায়, তারা প্ল্যাটফর্মে অস্বাভাবিক কার্যকলাপ শনাক্ত করার পরই বিষয়টি জানতে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়। যদিও এই ঘটনায় কোনো ফ্লাইট পরিচালনা বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা হয়নি।
সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আর্কটিক উলফের অস্ট্রেলিয়া প্রধান মার্ক থমাস বলেন, এই ধরণের হামলা এখন খুবই সমন্বিতভাবে ঘটছে এবং কান্তাস সম্ভবত নতুন শিকার। তিনি মনে করেন, স্কাটার্ড স্পাইডার নামে পরিচিত একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলার পেছনে থাকতে পারে যারা প্রযুক্তি কর্মী সেজে কর্মীদের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেয়।
অ্যালফাবেটের অধীনস্থ সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যানডিয়ান্ট'র প্রযুক্তি প্রধান চার্লস কারম্যাকাল বলেন, 'এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কে দায়ী, তবে বিশ্বব্যাপী এয়ারলাইনগুলোকে সামাজিক প্রকৌশল (social engineering) ভিত্তিক হামলা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।'
কান্তাসের বর্তমান সিইও ভেনেসা হাডসন বলেন, 'আমরা জানি এই ঘটনায় অনেকের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য আমাদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা এটি সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
কান্তাস জানিয়েছে, তারা এই ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ান সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (ACSC), তথ্য কমিশনারের কার্যালয় (OAIC) এবং ফেডারেল পুলিশকে (AFP) অবহিত করেছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/মুসা