উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে স্থাপন করা লাউডস্পিকার দিয়ে প্রচার ও কে-পপ সঙ্গীত সম্প্রচার স্থগিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। আজ বুধবার এক ঘোষণায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেও গত বছর এই সম্প্রচার পুনরায় শুরু করা হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং-এর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসেই দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপ পুনরায় শুরু করা হবে, সীমান্তে লাউডস্পিকার সম্প্রচার বন্ধ করা হবে এবং পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে স্থগিত হওয়া সামরিক চুক্তি পুনর্বহাল করা হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে ‘উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কের ওপর জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা’।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, একজন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী লাউডস্পিকার সম্প্রচার স্থগিত করা হয়েছে।’
গত বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে ২৪ ঘণ্টার প্রচারাভিযান পুনরায় চালু করে। সে সময় দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানায়, উত্তর কোরিয়ার পাঠানো আবর্জনাভর্তি বেলুনের প্রতিক্রিয়ায় এই সম্প্রচার শুরু করা হয়েছিল।
উত্তর কোরিয়া দাবি করেছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক—বিশেষ করে পিয়ংইয়ং থেকে পালিয়ে আসা পূর্বতন উত্তর কোরিয়ান ও মানবাধিকার কর্মীদের—প্রচার অভিযানের জবাবে তারা ওই বেলুন পাঠিয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার এসব কর্মী প্রায়ই উত্তর কোরিয়া বিরোধী লিফলেট ও বিভিন্ন সামগ্রী বেলুনে ভরে সীমান্ত পার করে পাঠান।
প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং বলেন, ‘সেরা নিরাপত্তা হলো এমন এক শান্তি, যেখানে লড়াইয়ের প্রয়োজন পড়ে না।’ তিনি দুই কোরিয়ার দীর্ঘদিনের সহিংস সম্পর্কের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
সূত্র: রয়টার্স