গাজা সিটিতে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল ও আকাশ অভিযান আরও বিস্তৃত করার অংশ হিসেবে ইসরায়েল মঙ্গলবার থেকে ধাপে ধাপে রিজার্ভ সেনাদের ডাকা শুরু করেছে। এ প্রক্রিয়ায় মোট ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। পাশাপাশি অতিরিক্ত ২০ হাজার সক্রিয় সেনার দায়িত্বও বাড়ানো হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনারা বর্তমানে উত্তর ও মধ্য গাজার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। গত কয়েকদিনে গাজা সিটির পশ্চিমাংশের জেইতুন ও শুজাইয়া এলাকায় হামলা ও প্রবেশ করেছে দখলদার বাহিনীটি। একসময় প্রাণচঞ্চল জেইতুনে বাজার, স্কুল ও ক্লিনিক থাকলেও সাম্প্রতিক অভিযানে এলাকা কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ইসরায়েল এটিকে বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।
গাজা সিটি হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ইসরায়েলি বাহিনী একাধিকবার অভিযানে গেলেও শহরের ভেতরে এখনও সুবিশাল টানেল নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে বলে দাবি করছে তেলআবিব। একইসঙ্গে, শহরটি উত্তর গাজার কয়েক লাখ বেসামরিক মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, যেখানে যুদ্ধ আর দুর্ভিক্ষ দুটি হুমকিই সমানভাবে ঘনিয়ে এসেছে।
জাতিসংঘের খাদ্যসংকট বিষয়ক সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, গাজা সিটিতে দুর্ভিক্ষ চলছে। শুধু আগস্ট মাসেই অপুষ্টিজনিত কারণে ১৮৫ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এখন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৫৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৬০ জন। নিহতদের অর্ধেকই নারী ও শিশু বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল