অভিবাসন আইন কঠোর করছে ইউরোপের দেশ গ্রিস। এ লক্ষ্যে সাত বছর থাকার পর অনিয়মিত অভিবাসীদের বসবাসের আবেদন সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়ার বিধান বাতিল করছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী মাকিস ভোরিডিস এ আইনের কথা জানান।
তিনি বলেন, সাত বছর থাকার পর বসবাসের অনুমতি দেওয়ার নিয়মের অপব্যবহার করা হয়েছে।
মাকিস ভোরিডিস বলেছেন, অভিবাসন আইন কঠোর করার মাধ্যমে তিনি বিদ্যমান বিধান বাতিল করবেন। এখন থেকে যারা অবৈধভাবে গ্রিসে থাকবে, তারা কখনও বৈধ হবেন না, কখনও বসবাসের অনুমতি পাবেন না।
তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ৫৫-৬৫ হাজার মানুষ অবৈধভাবে গ্রিসে প্রবেশ করে, যাদের অর্ধেক আশ্রয় মঞ্জুর করা হয়েছে।
মাকিস ভোরিডিস সম্প্রচারমাধ্যম স্কাই’কে বলেন, গত বছর পুলিশ ৭৪ হাজার অনিয়মিত অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছিল, কিন্তু মাত্র ২ হাজার ৫শ’ জনকে বহিষ্কার করা হয়।
তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিরা প্রায়শই নির্বাসন এড়াতে তাদের মিথ্যা নাগরিকত্বের তথ্য দেয়, ফলে প্রক্রিয়াটি মাসের পর মাস স্থগিত থাকে।
মাকিস ভোরিডিস আরও বলেন, বুধবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নতুন খসড়া আইনে অবৈধ প্রবেশ ও বসবাসে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আগামী জুন মাসে পার্লামেন্টে আইনটি পাস হবে, সরকার এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
তিনি বলেন, নির্বাসনের আগে প্রশাসনিক আটক বিদ্যমান সর্বোচ্চ ১৮ মাস থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত বাড়ানো হবে। অনিয়মিত অভিবাসীরা যেকোনও নিষেধাজ্ঞা এড়াতে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন বেছে নিতে পারেন।
মাকিস ভোরিডিস বলেন, জুলাই মাসের মধ্যে বৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করার জন্য নতুন নিয়মকানুন উপস্থাপন করা হবে।
অপরদিকে ব্যাংক অব গ্রিসের গভর্নর ইয়ানিস স্টৌরনারাসের মতে, দেশে প্রায় দুই লাখ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। সূত্র: আল-আহরাম
বিডি প্রতিদিন/একেএ