সময় তখন দুপুর। আচমকাই কেঁপে উঠল মিয়ানমারের মান্দালয় শহর। তিন থেকে চার মিনিটের কম্পনে পুরো শহরটি যেন একটি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হলো। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার জোড়া ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। হতাহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের সময় সন্তানদের নিয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টেই ছিলেন মিয়ানমারের বাসিন্দা সিরিনিয়া নাকুতা। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে নাকুতা বলেন, “কম্পন থামছিল না। উপরের তলা থেকে পাথরের মত জিনিস খসে পড়ার শব্দ শুনতে পাই। তখন বাচ্চাদের বলি, আমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না, বাইরে চলে যাওয়া উচিত।”
মিয়ানমারের সবথেকে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, কম্পন বেশ তীব্র ছিল। প্রায় চার মিনিট ধরে ঝাঁকুনি চলে।
নাম প্রকাশ না করে আরেক ব্যক্তি বলেন, “ঘুম থেকে জেগে দেখি ভবন মারাত্মকভাবে দুলছে। কাঁপাকাঁপি প্রায় তিন থেকে চার মিনিট চলে। বন্ধুদের কাছ থেকে বার্তা পাচ্ছিলাম। দেখলাম কম্পন শুধু ইয়াঙ্গুনেই নয়, দেশের অনেক এলাকাতেই হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে গত ২০ বছরের মধ্যে এত তীব্র ভূমিকম্প আর দেখা যায়নি। মিয়ানমার জান্তা জরুরি অবস্থা জারি করেছে এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছে।
ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককও। সেখানে নির্মানাধীন একটি বহুতল ভবন ধসে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত দশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৬ জন। আরও অন্তত ১০১ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে জানা গেছে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/একেএ