মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের ওপর তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কমান্ড সেন্টারে একের পর এক আঘাত হেনেছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। এতে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার শুরু হওয়া এই হামলায় কয়েক দিন, এমনকি কয়েক সপ্তাহও চলতে পারে বলে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির দাবি, সানার শাওয়াব জেলার আবাসিক এলাকায় হামলা হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যেন ভূমিকম্প হয়েছে।
হুথি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
হুথির মুখপাত্র নাসরুদ্দিন আমের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই হামলা তাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। গাজার জন্য সানা রক্ষাকবচ হয়ে থাকবে।
মার্কিন রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন ছিল। এছাড়া, ইউএসএস জর্জিয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিনও এই অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এটি ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে প্রথম হামলা।
ট্রাম্প হুথিদের লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় ‘নরক বৃষ্টির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হুথিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইরানকেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া শিগগির বন্ধ করতে তেহরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প তেহরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয়, আমেরিকা তোমাকে সম্পূর্ণ জবাবদিহির আওতায় আনবে। এটা কিন্তু তোমাদের জন্য ভালো হবে না।
এর আগে হুথিরা ঘোষণা দিয়েছিল, ইসরায়েলি জাহাজ লক্ষ্য করে নতুন করে হামলা চালাবে তারা। তবে সর্বশেষ এ মার্কিন হামলার পর রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হুথিদের কোনও পাল্টা আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ