সামরিক সহায়তা স্থগিতের পর ইউক্রেনের সঙ্গে এবার গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সহায়তার ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিয়তায় মধ্য পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি স্থগিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াল্টজ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এক ধাপ পিছিয়ে এসেছি।”
তিনি আরও বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন ‘এই সম্পর্কের সকল দিক’ স্থগিত এবং পর্যালোচনা করার বিষয়ে ভাবছে।”
২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণ আক্রমণের প্রাথমিক পর্যায় থেকেই ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র।
গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের স্থগিতাদেশ আংশিক নাকি পুরোপুরি এবং কতদিন এটি কার্যকর থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, এ ঘটনার পর এক টেলিভিশন ভাষণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ আগামী সপ্তাহে প্যারিসে ইউরোপীয় সেনাপ্রধানদের একটি বৈঠকের ঘোষণা দেন।িএ সময় তিনি বলেন, ফ্রান্সকে মার্কিন সাহায্য ছাড়াই এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
মাখোঁ বলেন, “আমি বিশ্বাস করি- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে থাকবে। তবে যদি তা না হয় সেক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।”
ইউরোপ একটি ‘নতুন যুগে’ প্রবেশ করছে বলে উল্লেখ করে মাখোঁ তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ইউক্রেন এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে ফ্রান্স একটি টেকসই শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে বৈঠকের এক পর্যায়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক ছিল যে, আপ্যায়ন ছাড়াই হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে যান জেলেনস্কি।
এ ঘটনার জেরে ইউক্রেনের জন্য সব ধরনের সামরিক সহায়তা সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ