তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সংক্রান্ত আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সুজন সম্পাদক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। তবু এ রায় নিয়ে আপিল করবেন বলে জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আদালতের দেওয়া রায়ের ব্যাপারে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে মাইলফলক। রায়ে কিছু বিষয়ে অসংগতি রয়েছে। তাই চলতি মাসেই আপিল করা হবে।
পঞ্চদশ সংশোধনী যেটা পাস হয়েছে সেটার বৈধতা ছিল না জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সংবিধান পঞ্চদশ সংশোধনী করেন শেখ হাসিনা। সবার মতামত অগ্রাহ্য করে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করা হয়। এমনকি যেই কমিটি গঠন করা হয়, সেটির প্রস্তাবও নেওয়া হয়নি। এখানে জনগণের মতামত নেওয়া হয়নি। যাদের মতামত নেওয়া হয়েছিল, তাদের বেশির ভাগই সরকার দলীয় ছিল। শুধু পঞ্চদশ সংশোধনী নয়, এর মাধ্যমে যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকারও অবৈধ। অর্থাৎ শেখ হাসিনাও অবৈধ।
তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীতে কিছু ভালো জিনিসও সংযোজন হয়েছে। যদি প্রক্রিয়াগত ভুলের কারণে পুরো সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া হয়, তাহলে এ ভালো জিনিসগুলোও বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু এটা একটা সমস্যা আছে, তাহলো যে কোনো সরকার একটা খারাপ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খারাপ সংশোধনী করে দুএকটা ভালো জিনিস জুড়ে দিতে পারে। যাতে করে সংশোধনীটি টিকে যায়। সেজন্য গভীরভাবে পর্যালোচনা করার জন্য আপিল করব। মামলার আইনজীবী ড. শরীফ ভূইয়া বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী ও সরকার অবৈধ ছিল। সংবিধান সংশোধনী অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় করা হয়েছিল। রায়ে এগুলো এড্রেস করা হয়নি। ত্রয়োদশ সংশোধনী রিভিউ করে পঞ্চদশ সংশোধনী পুরোপুরি বাতিল করলে পূর্ণাঙ্গ হবে। এর আগে, ৮ জুলাই পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন উচ্চ আদালত, যার মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হতে যাচ্ছে।