প্রথমে গল, এরপর কলম্বো। চরিত্র একটিই-পাথুম নিশাঙ্কা। গলে খেলেছিলেন ১৮৭ রানের প্রত্যয়ী ইনিংস। এবার কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ডে (এসসিজি) খেললেন ১৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। দুটি ইনিংসে টাইগার বোলারদের শাসন করেছেন ডান হাতি ওপেনার। দুটি সেঞ্চুরিই নিশাঙ্কা উদ্যাপন করেন দুই হাত দুই দিকে প্রসারিত করে তার ‘ট্রেডমার্ক’ স্টাইলে। তার সেঞ্চুরিতে ড্র হয়েছিল গল টেস্ট। কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে এবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে জয়ের। নিশাঙ্কার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা ৪৩ রানে এগিয়ে গেছে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৪৭ রানের জবাবে স্বাগতিকরা দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ২৯০ রান তুলে। ওপেনার নিশাঙ্কা ১৮ টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি করলেও নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়েছেন দিনেশ চন্ডিমাল। ব্যক্তিগত ৯৩ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটা তার প্রথম নব্বইয়ের ঘরে আউট। আগের দিনের ৮ উইকেটে ২২০ রান নেমে খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ।
মাত্র ২৭ রান যোগ করেন ৫১ বল খেলে। ২৪৭ রানে অলআউট হয় ৭৯.৩ ওভারে। এ রানটুকু করেন তাইজুল ইসলামের দৃঢ়তায়। তাইজুল ৬০ বলে ৩৩ রান করেন। স্বাগতিকরা গতকাল ৭৮ ওভার ব্যাটিং করে। দুই ওপেনার নিশাঙ্কা ও লাহিরু উদানা ৮৮ রানের ভিত দেন। লাহিরু ব্যক্তিগত ৪০ রানে বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের আর্মারে লেগ বিফোর হন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নিশাঙ্কা ও চন্ডিমাল যোগ করেন ১৯৪ রান।
দলীয় ২৮২ রানে অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে রিভার্স সুইপ খেলতে যেয়ে টপ এজড হন চন্ডিমাল। উইকেটরক্ষক লিটন দাস খুব সহজে ক্যাচ ধরেন। চন্ডিমালের ১৫৩ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার ও ১ ছক্কায়। নিশাঙ্কা অপরাজিত থাকেন ১৪৬ রানে। ইনিংসটি খেলেন ২৩৮ বলে ১৮ চারে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ১টি করে উইকেট নেন তাইজুল ও নাঈম। বাংলাদেশ খেলছে দুই পেসার নাহিদ রানা ও ইবাদত হোসেন এবং তিন স্পিনার তাইজুল, মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাঈমকে নিয়ে।