স্থলপথে রপ্তানি বন্ধে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর করণীয় নির্ধারণে ডাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বৈঠকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বলেছেন, সরকারি পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করা উচিত। আর পাল্টা পদক্ষেপ না নিয়ে বরং দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, সিদ্ধান্তটি বাণিজ্যিক হলেও রাজনৈতিক পর্যায় থেকেই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত এসেছে। ফলে সমস্যাটি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত। এই মুহূর্তে দেশে যেহেতু রাজনৈতিক সরকার নেই, সে কারণে রাজনৈতিক পর্যায়ে আলোচনাও সম্ভব না। তবে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ ইস্যুটি নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আজকে আমরা এ বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসেছি, তাদের মতামত নিয়েছি। পরিস্থিতির আর যাতে অবনতি না হয় সেজন্য প্রচেষ্টা থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যা শুনলাম তা আমরা আমাদের নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা কোনো ধরনের পাল্টা কর্মসূচি নেব না, তারা এটা করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে এনগেইজ হব।’ এ ধরনের নিষেধাজ্ঞাকে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করে বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে দুই দেশের সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠক আয়োজনের চিন্তা রয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সেক্রেটারিয়েট পর্যায়ের একটা এস্টাব্লিস্ট ফোরাম আছে। বৈঠকের জন্য কয়েক দিন আগে আমরা একটা চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠির উত্তর এলে আমরা বুঝতে পারব যে কবে বসা যায়।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার ৫টি স্থলপথে তৈরি পোশাকসহ সাত ধরনের পণ্য পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এর ফলে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্সে বাংলাদেশের রপ্তানি মূলত বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে করণীয় নির্ধারণে জরুরি বৈঠক ডাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি ছিলেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।