তিন ইস্যুতে দলীয় অবস্থান জোরদার করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আত্মপ্রকাশের পর দুই মাস ধরে জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার আর সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন-এ তিন ইস্যু মুখ্য করে রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে দলটি। এদিকে সাংগঠনিক তৎপরতার অংশ হিসেবে চলছে জেলা কমিটি গঠনের কাজ। আসছে এপ্রিলে দেশের ৩০ জেলায় কমিটি ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি।
দলীয় সূত্র জানান, তিন ইস্যুতে এক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে দলটি। গতকালও রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। ইস্যু তিনটি হলেও মূল ফোকাস রাখা হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের ওপর। আওয়ামী লীগ ইস্যুর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিচার এবং সংস্কার প্রশ্নে কোনো আপস করবেন না তাঁরা।
দলের যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের কোনো দল নয়, তারা ভারতের একটি দল। তারা আরএসএস লীগ, দিল্লি লীগ। তারা বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না। পলাতক আওয়ামী লীগ আবারও উঁকিঝুঁকি মারার চেষ্টা করছে। তাদের সে সুযোগ আর দেওয়া হবে না। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে তারা যে গণহত্যা চালিয়েছে, এরপর আর তাদের নিষিদ্ধ করতে কোনো আইন লাগবে না। রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজন আন্তরিকভাবে ঐকমত্যে পৌঁছালেই তাদের নিষিদ্ধ করা সম্ভব।’
দলের যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘এ তিনটি এজেন্ডাই আমাদের কাছে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সুরক্ষায় আওয়ামী লীগের বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের বিকল্প নাই।’