খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও প্রো-ভিসি ড. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামের অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কুয়েট প্রশাসনের কাছে তাঁদের অব্যাহতিপত্র বা এ ধরনের কোনো নির্দেশনা আসেনি। একই সঙ্গে ভিসি ও প্রো-ভিসি পদত্যাগ করেছেন বলে দিনভর গুঞ্জন থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর এটি সত্য নয় বলে নিশ্চিত করেছে। তবে শিক্ষার্থীরা কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে দাবি করে গতকাল বিকালে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেছেন। মিছিলের সঙ্গে নেচে-গেয়ে তাঁরা ক্যাম্পাসে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন। এর আগে বুধবার রাত ১টায় ভিসি ও প্রো-ভিসির অব্যাহতির ঘোষণায় ৫৮ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে আনন্দ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তবে সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া চাপের মুখে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের অব্যাহতির সিদ্ধান্তে ন্যায়বিচারের পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষক সমিতির বিবৃতি : গতকাল শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম একটা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস। কিন্তু বর্তমান সময়ে যারা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আন্দোলন করে আসছিল, আমরা দেখতে পাচ্ছি তারাই আজ অন্ধকার রাজনীতির করাল গ্রাসে বন্দি।’
ভিসি ও প্রো-ভিসি নিয়োগে সার্চ কমিটি : বুধবার রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ভিসি ও প্রো-ভিসির অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উ™ূ¢ত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি, প্রো-ভিসিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্র্বতীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে ভিসির দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।
অধিকতর তদন্তের দাবি প্রো-ভিসির : কুয়েট প্রো-ভিসি শেখ শরীফুল আলম বলেছেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি বা আমাকে পদত্যাগ করতে বলাও হয়নি। আমাদেরকে যদি বলত ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আপনাদের পদত্যাগ করতেই হবে, এটাই একমাত্র সমাধান। তাহলে আমরা পদত্যাগ করতাম। আমি কোনো পদত্যাগপত্র পাঠাইনি।’