স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একসময়ের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যারা সিন্ডিকেট করে পুলিশে বদলি ও পদোন্নতি দিতেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ওইসব কর্মকর্তার মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, পুলিশের ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফ মাহমুদ অপুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুদক। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে গতকাল বিকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, প্রথম মামলায় ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৮২৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর ১৪ ব্যাংক হিসাবে ৫ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৫৯০ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহপূর্ণ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় শরিফ মাহমুদ অপুর নামে ৫৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তৃতীয় মামলায় মোল্যা নজরুল ইসলামের নিজ নামে ৯৪ লাখ ১ হাজার ৮০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুস, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তাঁর স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান ও মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খানের নামে পৃথক চারটি মামলা করে দুদক। একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস মনির হোসেনকে আসামি করেও মামলা হয়। আসাদুজ্জামান খানকে চার মামলায় আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছরের ২১ আগস্ট আসাদুজ্জামান খানের পরিবার এবং তাঁর সাবেক পিএস হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুসহ আটজনের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেনের তথ্য তলব করে দুদক। ১ সেপ্টেম্বর তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। অন্যদিকে আসাদুজ্জামান খান সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম। এক যুগ আগেও ২০১৩ সালে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান করলেও অদৃশ্য কারণে পার পেয়ে যান।