যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী সে দেশ থেকে আসা ২৯ মিলিয়ন ডলার প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এটা যদি আমাদের দেশের মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে হয়, কারও মোটিভেটেড কোনো ইস্যুতে এটা ব্যবহার করে, সেটা দেখার বিষয়। আমরা দেখব ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের মোটিভেশনাল কাজে টাকা না আসে। গতকাল সচিবালয়ে পার্চেজ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, রোজার পর মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এক পার্সেন্ট কমেছে। এটা যাতে ধারাবাহিকভাবে কমে আসে এবং বাজেট দেওয়ার সময় এটা যাতে রিজনেবল অবস্থায় থাকে। কারণ এটা আমাদের একটা চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফীতি হলেই জীবনযাপনের মান কমে যায়। এবার বড় একটি (পণ্যের) অংশ আমাদের আমদানি করতে হয়েছে। এটা আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট জুনেই ঘোষণা করা হবে। বাজেট প্রণয়নে প্রধান অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করা হবে। আর আমরা যদি বাজেট না দেই, তবে দাতাদের প্রজেকশন আছে, কত কী হবে, সেটা আমরা মিস করতে পারব না। আমরা জানিয়ে দেব, তারা যদি মনে করে রিভাইজ করবে, তাহলে তারা রিভাইজ করবে।
আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোজার সময়ে এবং রোজা ছাড়াও মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্যাকেজে যে জিনিসগুলো থাকে, সেগুলো নিশ্চিত করতে। একই সঙ্গে আমরা চেষ্টা করছি দামটা যাতে রিজনেবল থাকে। এজন্য প্রথমত সরবরাহটা নিশ্চিত করা হবে। সরবরাহ নিশ্চিত না হলে অনেক সময় সঠিক দামে ভোক্তারা পায় না। এখানে আবার মার্কেট ডায়নামিকস আছে।
এলসি খোলার ক্ষেত্রে ডলার সংকটের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজারে ডলারের সংকট নেই। আমাদের রপ্তানি বেড়েছে। সেটা আমরা জানছি, কারণ আমাদের ক্যাশ ইনসেনটিভ দিতে হয়। আর ব্যবসায়ীদের আমি ভালো করে চিনি। তারা অনেক সময় একপেশে কথাবার্তা বলেন। এক গ্রুপ এসে বলবে, স্যার আপনি তো এটার ওপর ট্যাক্স দিয়েছেন বা কমিয়ে দিয়েছেন। আরেক গ্রুপ এসে বলবে, স্যার আপনি কমাইয়েন না, যা দিয়েছেন ঠিকই আছে। সুতরাং আমাকে চিন্তাভাবনা করে করতে হয়।