স্থপতি রাকিবুল হক এমিল। প্রাণীদের জন্য করেছেন হাসপাতাল, আবাসিক হোস্টেল। কেউ কুকুর-বিড়াল হত্যা করলে তাকে দাঁড় করান আদালতের কাঠগড়ায়। এই প্রাণী অধিকারকর্মীর মতে, ঢাকার বানরকে আমরাই অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছি। আমরাই ধ্বংস করে ফেলেছি বানরের আবাসস্থল, খাদ্যস্থল। ক্ষুধার জ্বালায় খাবারের খোঁজে ঘরে ঢুকে পড়লে অনেকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলছে অবলা প্রাণীটিকে। এগুলো বন্যপ্রাণী। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বনবিভাগের। সরকারিভাবে উদ্যোগ না নিলে বানরগুলো হারিয়ে যাবে।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বানরকে বলা হয় শাখামৃগ। অর্থাৎ, গাছের হরিণ। অথচ, প্রতিনিয়ত বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। বানর থাকবে কোথায়? আগে সরকারিভাবে খাবার দেওয়া হতো। এখন বোধহয় তাও বন্ধ। মানুষজন আগের মতো খাবার দেয় না। হরহামেশা বৈদ্যুতিক তারে শক খেয়ে বানর মারা যাচ্ছে। ওরাতো জানে না এই তারে বিদ্যুৎ আছে। আমাদের প্রাণী হাসপাতালে মাঝেমধ্যে শক খাওয়া, গাড়িচাপা পড়া বা নানাভাবে আহত বানর কেউ কেউ নিয়ে আসে। আমরাও খবর পেলে উদ্ধার করি। চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পর বনবিভাগের কাছে দিয়ে দেই।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে প্রতি বছর বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। অন্যদিকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে গাছের চারা লাগানো হচ্ছে। বড় গাছ বাঁচাতে হবে। এ ছাড়া গাছ লাগানোর আগে প্রাণিবিদ্যা, পরিবেশবিদ, উদ্ভিদবিদসহ সংশ্লিষ্ট সব বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, প্রকৃতি রক্ষায় কোন গাছটা লাগানো প্রয়োজন। যেমন বানর ফল খায়। যে এলাকায় বানরের বসবাস, সেখানে বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে ফল গাছকে গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। যেখানে দূষণ বেশি, সেখানে নিম গাছ বেশি লাগানো যেতে পারে। অনেক গাছ অন্যান্য প্রজাতির গাছ বা বিভিন্ন প্রাণীর জন্য হুমকি। এগুলো বাদ দিতে হবে। এগুলো সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসে নির্ধারণ করতে হবে।