প্রেমিক সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর যেন ঝড় বয়ে যায় বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর জীবনে। হঠাৎ ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় সব। হুমকির মুখে পড়ে নায়িকার মানসিক স্বাস্থ্য। সবকিছু পেরিয়ে এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। কীভাবে সম্ভব হলো, জানালেন নিজেই।
একদিকে ব্যক্তিগত মানসিক যন্ত্রণা, অন্যদিকে জেল হেফাজত থেকে শুরু করে বয়কটের ডাক। সব মিলিয়ে রিয়ার মানসিক স্বাস্থ্যে এতটাই গভীর প্রভাব ফেলেছিল যে তিনি শেষমেশ ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার’ বা পিটিএসডি তে ভুগতে শুরু করেন।
অভিনেত্রী বলেন, আমি যে দিনগুলো কাটিয়েছি, তা এতটাই প্রকাশ্য ছিল যে অনেকেই এখন আমার কাছে এসে নিজেদের মানসিক সমস্যার কথা বলতে স্বস্তিবোধ করেন। তারা মনে করেন, আমি বুঝতে পারি মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। আমার কয়েকজন পুরোনো বন্ধু যারা আমাকে দশ বছর ধরে চেনে, তারাও এসে নিজেদের পারিবারিক বা সম্পর্কজনিত সমস্যার কথা জানাতে শুরু করে। কারণ, এত ভয়, এত লজ্জা এই বিষয়গুলো সমাজে এখনো গভীরভাবে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিজেকে মনে করাতাম, আমি কী কী কারণে কৃতজ্ঞ। অনেক দিন এমনও কেটেছে যখন কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো কিছুই মাথায় আসেনি। কিন্তু আমি নিজেকে জোর করে বলতাম আমি হাঁটতে পারছি, আমার হাত-পা কাজ করছে, চোখে দেখতে পাচ্ছি; অন্তত এগুলোর জন্য ধন্যবাদ।
সম্প্রতি সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) রিয়া চক্রবর্তীকে সুশান্তের মামলায় ‘ক্লিন চিট’ দিয়েছে। যদিও অভিনেতার পরিবার এখনো সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চলেছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি