সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ঐকমত্য কমিশন সংস্কারে ঐকমত্যের নামে অনৈক্য সৃষ্টি করে নির্বাচনের পথে জটিলতা করছে। একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক গোষ্ঠীর গুপ্ত রাজনীতির সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে অন্তর্বর্তী সরকার সহায়তা করতে পারে না।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশন ও সরকার বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলের সাথে জুলাই সনদ নিয়ে প্রতারণা করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। জুলাই সনদ নিয়ে সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জট সৃষ্টি করেছে, তাদেরকেই জট খুলতে হবে।
সোমবার বিকেলে ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে পথসভায় এমরান সালেহ প্রিন্স এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করতে পারে না। সরকার নিজেদের কর্মকাণ্ডে নিরপেক্ষতা না রাখলে জনগণ ভিন্ন দাবি তুলতে পারে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা এককভাবে নির্বাচন করে দুটি আসনের বেশি আসন পায় নাই বা একটি আসনও না পেয়ে জামানত হারিয়েছে, তাদের মতামতকে প্রধান্য দিয়ে চার বার সরকার গঠন করা দলের মতামতকে অবজ্ঞা বা উপেক্ষা করে জনবিক্ষোভের মুখে পড়া সরকারের উচিত হবে না।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংস করে গেছে। অর্থনীতি লন্ডভন্ড। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। কৃষক ধানসহ কৃষিপণ্যের দাম না পেয়ে সর্বশান্ত। বিনিয়োগ নাই। ব্যবসা বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বেকারত্ব বাড়ছে। একমাত্র পথ জণগণের নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে। এজন্যই বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিল। কিন্তু সকারের চাওয়ার সাথে সমন্বয় করে ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগেই নির্বাচনে বিএনপি রাজি হয়েছে। এখন বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন পেছালে বিএনপি ঘরে বসে থাকবে না।
এসময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আযহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কুদ্দুস, আবদুল মমিন শাহীন, ঘোষগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহজাহান মেম্বার, সদস্য সচিব আবদুল মতিন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম ডলার, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আল রাজি উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই