চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নাট্যকার সমু চৌধুরীকে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার একটি মাজারে গামছা পড়া অবস্থায় দেখা গেছে। এমন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে ছবির সূত্র ধরে অভিনেতাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে সমু চৌধুরীকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের জিম্মায় তাঁকে তুলে দেওয়া হবে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিনেতাকে উপজেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে খোশগল্পে সময় কাটাতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম গণমাধ্যমকে জানান, সমু চৌধুরীর খোঁজ-খবর নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা মাজারে অবস্থান করছেন। আমাদের সঙ্গে সমু চৌধুরী বসে কথা বলেছেন। তিনি বতর্মানে স্বাভাবিক এবং সুস্থ আছেন। আমরা তার পাশে আছি।
এদিকে, সমু চৌধুরীকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে অভিনয় শিল্পী সংঘ। অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, ‘সমুদা মানসিক চাপে এমনটি করেছেন। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমরা সমুদাকে নিকটস্থ পাগলা থানা প্রশাসনের মাধ্যমে মাজারের ওখান থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে এসেছি। ঢাকা থেকে আমাদের একটি দল যাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব উনাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে পাগলা থানা এলাকার মুখী শাহ্ মিসকিন মাজারের পাশে গাব গাছের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। মামুন নামে স্থানীয় এক যুবক প্রথমে সমু চৌধুরীর ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন এবং তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মনে করেছিলেন এটি শুটিংয়ের ছবি। কিন্তু তা নয়, আসলেই সমু চৌধুরী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে মাজারে শুয়েছিলেন। স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সমু চৌধুরী ওই মাজারে আসেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত/শফিক