অবশেষে নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ-সংশয়ের আপাত অবসান হলো। নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে জরুরি প্রস্তুতির কাজগুলো আগামী নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্নের লক্ষ্য স্থির করেছে। এটা নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের পক্ষ থেকে একধাপ অগ্রগতি। নির্বাচনি রোডম্যাপ, প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পর্যায়ক্রমে কবে কোনটা করা হবে, তার সম্ভাব্য সময়সীমা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে সব অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, নির্বাচনি আইনবিধি সংস্কার, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণসহ ২৪টি কাজের উল্লেখ রয়েছে। ধারণা দেওয়া হয়েছে যে সেপ্টেম্বরের শুরুতে সীমানার গেজেট, নভেম্বরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে আমন্ত্রণ পাবেন জুলাই যোদ্ধারাও। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা। ইসির এ নির্বাচনি কর্মপরিকল্পনাকে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। জামায়াতের মতে, বিষয়টিতে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। তাদের মতে, এ রোডম্যাপ গতানুগতিক ও বিভ্রান্তিমূলক। এনসিপি মনে করে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই সনদের আইনি ও সাংবিধানিক ভিত্তি নিশ্চিত না করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া স্পষ্টতই সরকারের প্রতিশ্রুতি ভাঙার শামিল। তবে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে বিভিন্ন দল। ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যে অনেকটাই এগিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায় ইসি। তার জন্য আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ-সংক্রান্ত মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হবে, যার পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হবে অক্টোবরে। প্রবাসী ভোটারদের তালিকাভুক্তি নিবন্ধন নভেম্বরে। তফসিল ঘোষণার পর বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রচারণা ও দলীয় প্রধানের বক্তব্য দেওয়ার জন্য চিঠি দেবে ইসি। বেতার ও বিটিভির সে সম্প্রচার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়াও প্রচার করতে পারবে। সব মিলিয়ে ইসির পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি যথেষ্ট গোছালো ও স্বচ্ছ। তবু তারা মনে করে, এত বড় একটা কর্মযজ্ঞ সম্পাদন নিঃসন্দেহ চ্যালেঞ্জের। যা মোকাবিলার আত্মপ্রত্যয়ী দৃঢ়তা তাদের আছে। প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর সুবিবেচনা, সহযোগিতা এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রশ্নে ঐকমত্য। দেশের সচেতন জনগণ, সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রশাসন, আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সব অংশীজনের সমন্বিত সর্বোচ্চ সদিচ্ছা ও সহযোগিতায় ‘ইতিহাস সেরা’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচিত সরকারের হাতে ন্যস্ত হোক রাষ্ট্র পরিচালনার গণতান্ত্রিক গুরুদায়িত্ব। যার অপেক্ষায় রয়েছে জাতি।
শিরোনাম
- কানাডার টরেন্টোতে বাচনিকের যুগপূর্তি উৎসব ‘বাচনিক বৈভব’
- ভারতকে আবারও পরমাণু বোমার হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান
- সৌদিতে হামলা মানেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা: নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির পথে রিয়াদ
- সপ্তাহের শেষে কমতে পারে গরম, সাগরে লঘুচাপের আভাস
- প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান
- কারিনার সাথে দাম্পত্যে সুখী সাইফ, তবু অমৃতার স্মৃতিতে বারবার ফিরে যান
- হামাস নিরস্ত্র না হওয়া পর্যন্ত গাজা যুদ্ধ শেষ হবে না: নেতানিয়াহু
- আর নয় বিজ্ঞাপন, গুগল সার্চ ইঞ্জিনে যুক্ত হলো নতুন ফিচার
- তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান–আফগানিস্তান, তবে...
- বন্দরে অচলাবস্থা, কর্মবিরতিতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও পরিবহন মালিকরা
- শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল
- অপারেশন সিঁদুর ছিল শুরু মাত্র, পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি মাটি এখন ব্রহ্মসের আওতায়: রাজনাথ সিং
- ব্রহ্মস হুমকির উত্তরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা
- গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট
- আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের
- শাহজালালে কার্গো ভিলেজে ২০ ঘণ্টা পরও ধোঁয়া উড়ছে
- রাফা ক্রসিং বন্ধ রাখার ঘোষণা নেতানিয়াহুর
- আইসিসির পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান নিয়ে সমালোচনা পাকিস্তানের
- ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আট দিনে ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ
- পুঁজিবাজার : সূচকের পতনে চলছে লেনদেন
নির্বাচনের রোডম্যাপ
বাস্তবায়িত হোক ঐক্যের শক্তিতে
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর