দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিল হিটলারের নাজি বাহিনী। মানবসভ্যতার জন্য যা ছিল এক কলঙ্কিত অধ্যায়। দুনিয়ার শান্তিপ্রিয় সব মানুষের সহানুভূতির লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইহুদিরা। মানবসভ্যতার উন্মেষ ঘটানোর পেছনে যে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি, তাদের নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছিল জগৎবাসীর ঐক্য। যা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মানির নেতৃত্বাধীন পৈশাচিক শক্তির পরাজয় নিশ্চিত করে। গণহত্যা ও নির্যাতন-নিপীড়ন কত ভয়াবহ, তা ইহুদিদের চেয়ে আর কোনো জাতির বেশি জানা নয়। আশা করা হয়েছিল, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের তিক্ত অভিজ্ঞতা শান্তিপ্রিয় ইহুদি জাতির মানবিক বিকাশে অবদান রাখবে। তারা দ্বিতীয় মহাযুদ্ধোত্তর বিশ্বে শান্তি ও মানবিকতার প্রতিভূ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, জগৎবাসীর সে প্রত্যাশার প্রতি একাত্ম হতে পারেনি ইহুদিবাদীরা। ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নিধনযজ্ঞে তারা যে অপভূমিকা রাখছে, তাতে তাদের নব্য নাৎসি বললেও কম বলা হবে। বলা যায়, শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্ব শান্তির জন্যও সাক্ষাৎ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ইহুদিবাদীরা। ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় বিশ্বের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জাতি ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব বিপন্ন প্রায়। ১৭ মাস আগে ফিলিস্তিনের উগ্রবাদী সংগঠন হামাসের হামলায় ইসরায়েলের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পর হামাসবিরোধী অভিযানের নামে প্রকারান্তরে জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু করে তেলআবিবের বর্বর শাসকরা। নবী মুসা (আ.) নয়, নিজেদের হিটলারের অনুসারী হিসেবেই যেন প্রমাণ করার চেষ্টা করছে তারা। গত ১৭ মাসে ইহুদিবাদীদের হাতে নিহত হয়েছে অন্তত ৪৯ হাজার ৬১৭ জন ফিলিস্তিনি। যাদের এক তৃতীয়াংশের বেশি শিশু। এ পর্যন্ত আহত হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজারের মতো। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর আচরণে মনে হয় না তারা তাদের জাত ভাইয়ের ওপর হামলায় আদৌ মর্মাহত। সভ্যতার সোল এজেন্ট পশ্চিমা দুনিয়ার নির্বিকার ভূমিকা ইহুদিবাদীদেরই তোষণ করে চলছে। ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব শুধু নয়, বিশ্ব শান্তির জন্য এই বর্বরতা রুখতে হবে মনুষ্য পরিচয়ধারী সবাইকে। গণহত্যাকারীদের প্রতি আমাদের ঘৃণা।
শিরোনাম
- হায়দরাবাদের কাছে হেরে প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেল লখনৌ
- এক হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনা খরচে হজের আমন্ত্রণ সৌদির
- বাংলাদেশকে হারিয়ে আরব আমিরাতের ইতিহাস
- বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার মামলার আপিল করলেন ফয়জুল করিম
- টানা ৫ দিন বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস
- তামিম-হৃদয়ের ব্যাটে বাংলাদেশের রানের পাহাড়
- ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে বিআরটিসি
- যে কারণে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেই সেঞ্চুরিয়ান ইমন
- নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কারগুলো গুরুত্ব দিচ্ছি: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
- এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ
- ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে সব ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে: মীর হেলাল
- অভিনেতা চঞ্চলের সঙ্গে ছবি : ক্ষমা চাইলেন ইশরাক
- পতিত ফ্যাসিস্ট আসিফদের থামাতে পারে নাই : হাসনাত
- আজকালের মধ্যে ইশরাকের শপথ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করতে হতে পারে : সালাহউদ্দিন
- টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নেই সেঞ্চুরিয়ান ইমন
- জবিতে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব
- এশিয়া কাপ থেকে ভারতের নাম প্রত্যাহারের খবর ভিত্তিহীন : বিসিসিআই
- শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর : উপদেষ্টা
- যুবলীগ নেতার দখল করা ফ্লাট উদ্ধারের দাবি নারীর
- ‘৫৪ বছরে নদীর যে ক্ষতি হয়েছে তা এক দেড় বছরে সমাধান সম্ভব না’