মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান রাম দুলারী নুনিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত শুরু করেছে।
টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের সাতজন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক বরাবর দেওয়া অভিযোগ করেন। অভিযোগকারীরা দাবি করেন, গত বছরের ৩১ অক্টোবর একটি কথিত ইউপি সভা দেখিয়ে রাম দুলারী নুনিয়া একটি জাল রেজুলেশন তৈরি করেন। এতে নিজেকে চেয়ারম্যানের সব দায়িত্ব ও ইউনিয়নের ব্যাংক হিসাব পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেখানো হয়। ওই রেজুলেশনে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে টেম্পারিং করা হয়েছে।
অভিযোগকারীরা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. টিপু খান গত বছরের ১০ জুন বিদেশে যাওয়ার পর দীর্ঘসময় অনুপস্থিত থাকেন। তার অনুপস্থিতির সুযোগে রাম দুলারী নুনিয়া কোন বৈধ সভা ছাড়াই নিজেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করে সরকারি প্রকল্পের অর্থ ছাড় ও উত্তোলন করেন।
গত ২৩ জুলাই ইউএনও সরেজমিন টেংরা ইউনিয়ন পরিষদে পরিদর্শনে গেলে দৈনিক কর আদায়ের অর্থ ব্যাংকে জমা না থাকার তথ্য পান। ট্রেড লাইসেন্স, নাগরিকত্ব সনদ ও কর বাবদ সংগৃহীত অর্থের কোন ব্যাংক এন্ট্রি পাওয়া যায়নি।
ইউপি সদস্য মো. মতিন মিয়া বলেন, চেয়ারম্যান বিদেশে যাওয়ার পর রাম দুলারী বেআইনিভাবে ইউপির দায়িত্ব নিয়ে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরতের দাবি জানাই।
প্যানেল চেয়ারম্যান-২ রাম দুলারী নুনিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমি কোন অনিয়ম করিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া