কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়া ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ইসরায়েল। মানবাধিকার সংস্থা রেড ক্রসের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করে তেল আবিব কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পরীক্ষা চলছে।
এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, তুরস্ক এবং কাতারের মধ্যস্থতায় সই হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রায় দুই হাজার জীবিত ফিলিস্তিনি বন্দিকে সোমবার ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে-এই বন্দিরা কীভাবে মারা গেলেন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থাগুলোর মতে, রেড ক্রসের মেডিকেল টিম বর্তমানে প্রতিটি মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষা করছে। উদ্দেশ্য হলো- বন্দিদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া। তারা কি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন, নাকি বন্দিদশায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন?
একজন চিকিৎসাবিষয়ক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যেমকে বলেন, “আমরা প্রতিটি মরদেহ আলাদাভাবে পরীক্ষা করছি। মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ধারণ না করা পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে না।”
মরদেহগুলো পৌঁছানোর পর দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে শোকমিছিল করেন এবং নিহতদের সম্মানে স্লোগান দেন। একজন স্বজন বলেন,“আমরা জানি না আমাদের ভাইরা কীভাবে মারা গেল। তারা জীবিত মুক্তি পাবেন-এটাই ভেবেছিলাম।” সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ