বগুড়ায় সবজির উৎপাদন স্বাভাবিক থাকলেও বাজারে কমছে না দাম। বরং গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে গিয়ে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা। এতে বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বগুড়ার রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি, খান্দার ও বকশি বাজার ঘুরে দেখা যায়—আলু ও পেঁপে ছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির দাম গত ১৫ দিনে বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, দেশি শসা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ফুলকপি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পাতাকপি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি আদা ১৮০ টাকা ও রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। কেবল আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং পেঁপে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সবজির সঙ্গে মাংস ও মাছের বাজারেও চড়া দাম। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৮০ থেকে ৭৫০ টাকা, খাসি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, আর ডিমের হালি ৪৪ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারেও দাম উর্ধ্বমুখী—রুই মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও ইলিশ আকারভেদে ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, অসময়ের বৃষ্টিতে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সবজির সরবরাহ হঠাৎ কমেছে, ফলে দাম বেড়েছে। তাদের মতে, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম আবারও কমে আসবে।
ফতেহ আলী বাজারে সবজি কিনতে আসা এনজিওকর্মী নয়ন শেখ বলেন, গত এক সপ্তাহে সবজির কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। একই সঙ্গে মাছ-মাংসের দামও চড়া। অল্প আয়ে সংসার চালাতে গিয়ে চাহিদা মেটানোই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল