বগুড়ার বাজারে সরবরাহ থাকলেও কমছে না সবজির দাম। সামান্য বৃষ্টির অজুহাতে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। কৃষকরা বলছেন, বীজ, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। একই সঙ্গে কৃষি শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। গত বছর এই সময়ে মাঠ ভরে ছিল শীতকালীন সবজিতে, কিন্তু এবার তেমন কোনো চিত্র দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমেছে। ফলে দাম বেড়েছে। তবে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হওয়ায় অল্পদিনের মধ্যে বাজারে দাম কিছুটা কমে আসবে বলে তারা আশা করছেন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনী, খান্দার ও বকশি বাজার ঘুরে দেখা যায়—আলু ও পেঁপে ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বর্তমানে বেগুন ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা এবং মিষ্টিকুমড়া ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর দামও বেড়ে হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা এবং রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে। টমেটো ও গাজরের দাম পৌঁছেছে ১৬০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির পাশাপাশি মাছের বাজারেও চড়া দাম। দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের রুই মাছ কেজি প্রতি ৩৬০ টাকা, তিন কেজির কাতল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আড়াই কেজির সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেশ চড়া।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সবজির বাজার অস্থিতিশীল। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়ায় দাম আরও বেড়েছে।
বগুড়া সদরের সাবগ্রাম এলাকার দৌলত জামান প্রামানিক বলেন, অনেকদিন ধরেই প্রতিটি সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল