গত মঙ্গলবার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে কাতারে অবস্থানরত হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে নামাজ আদায়ের জন্য মোবাইল ফোন রেখে অন্যত্র যাওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তারা। এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক আরবি গণমাধ্যম আশার্ক আল আওসাত, যা উদ্ধৃত করেছে জেরুজালেম পোস্ট ও জুইশ ক্রনিকালস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে হামাস নেতারা কাতারের একটি আবাসিক ভবনে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় ভবনটি লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন হামাসের সিনিয়র নেতা খলিল আল হায়াসহ সংগঠনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। তবে তারা কেউই হামলার সময় ভবনের ভেতরে ছিলেন না। নামাজ আদায়ের জন্য মোবাইল ফোন রেখে তারা অন্যত্র ছিলেন বলে দাবি গণমাধ্যমগুলোর।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, হামাস নেতাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা। সেই তথ্যে ভিত্তি করেই চালানো হয় বিমান হামলা। তবে ফোনগুলো যেহেতু ভবনের ভেতরেই ছিল, আর নেতারা ছিলেন বাইরে, তাই তারা প্রাণে বেঁচে যান।
এই ঘটনা ঘিরে এখন প্রশ্ন উঠছে— ফোন ব্যবহার ও ট্র্যাকিং প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে অত্যাধুনিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ইসরায়েল। অতীতেও ইরানসহ বিভিন্ন দেশে একই কৌশলে হামাস ও ইরানের শীর্ষ নেতাদের ওপর হামলা চালিয়েছে দেশটি, যার ফলে প্রাণ হারান বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
ইসরায়েলি হামলায় কাতারের ওই আবাসিক ভবনটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হামাস নেতারা কেউই হতাহত হননি। ধারণা করা হচ্ছে, হামলার সময় তারা নিকটবর্তী একটি মসজিদ বা নামাজের জন্য নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ