নেপালের রাজনৈতিক সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে গতকাল পর্যন্ত এই সরকারের নেতৃত্ব নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেল এক বিবৃতিতে নাগরিকদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তিনি দেশের চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে উত্তরণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্র : বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রেসিডেন্ট পাওডেল বলেছেন, ‘সংবিধানের সীমার ভিতরে থেকে গণতন্ত্র রক্ষা, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আন্দোলনরত নাগরিকদের দাবি পূরণের পাশাপাশি সবাইকে সংযমের সঙ্গে শান্তি রক্ষায় সহযোগিতার আহ্বান জানাই।’ জানা গেছে, জেন-জি নামে পরিচিত তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকারীরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তিনজনের নাম প্রস্তাব করেছে। এই তিনজন হলেন দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি, র্যাপার থেকে কাঠমান্ডুর মেয়র হওয়া বালেন্দ্র (বালেন) শাহ এবং বর্তমান আলোচনায় এগিয়ে থাকা সাবেক বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কুলমান ঘিসিং।
ভারতে পালানোর সময় ৬০ কারাবন্দি গ্রেপ্তার : আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নেপালের বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া অন্তত ৬০ জন বন্দিকে ভারতে প্রবেশের সময় গ্রেপ্তার করেছে ‘সশস্ত্র সীমা বল’ (এসএসবি)। গতকাল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এসএসবি’র কর্মকর্তারা। নেপালের বিভিন্ন কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৬০ জন বন্দি গত ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।