গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে যারা নিজেদের বদলাতে পারবেন না, আগামী দিনে তারা আর প্রাসঙ্গিক থাকবেন না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশন’ ও ‘আমাদের নতুন বাংলাদেশ’ আয়োজিত জুলাই গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত ‘দ্রুত বিচার সম্পন্ন, মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান ব্যবস্থা নিজেই একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থার মধ্যে যে-ই ক্ষমতায় যান, তাকেই স্বৈরাচারী বানিয়ে দেন।
চব্বিশের অভ্যুত্থান বড় ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে যারা নিজেদের বদলাতে পারবেন না, আগামী দিনে তারা আর প্রাসঙ্গিক থাকবেন না। নতুন ব্যবস্থার জন্ম এখন এটা অনিবার্য ঘটনা। কাজেই নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে যারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারবেন, তারাই আগামী দিনে প্রাসঙ্গিক থাকবেন।
সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও এই পুলিশ ও প্রশাসনের তেমন পরিবর্তন হয়নি।
বরং বিভিন্ন দলকে ব্যবহার করে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রশাসনে পুনর্বাসিত হচ্ছেন। অগ্নিসেনা সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি জহিরুল হক সভায় সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন। বক্তব্য দেন বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ প্রমুখ।