জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথকভাবে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি গণমিছিল বের করে জেলা জামায়াতে ইসলামী। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মাওলানা মোবারক হোসেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা মাওলানা আমিনুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ জুনায়েদ হাসান ও আব্দুল বাতেন, যুব ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মো. রাকন উদ্দিন, আইসিটি ও শিক্ষা সম্পাদক রাজিফুল হাসান বাপ্পী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি হাসান মাহমুদ ও সেক্রেটারি জুলফিকার হায়দার রাফিসহ অনেকে।
সমাবেশে মাওলানা মোবারক হোসেন বলেন, 'ছাত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিদায় হয়েছে। বিগত ১৬ বছর মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। শেখ হাসিনার সরকার ভিন্নমতকে সহ্য করেনি। এই দেশের মানুষ তাদের রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়েছে। তবে এখনও তার সহযোগী ও অনুসারীরা ক্ষমতায় রয়ে গেছে।'
এর আগে সকাল ১১টার দিকে হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টি.এ রোড থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত গণমিছিল ও সমাবেশ করে। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মুফতি মুবারক উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম।
একই দিন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগেও পৃথক মিছিল ও সমাবেশ হয়। সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং সেক্রেটারি মাওলানা গাজী নিয়াজুল করীম এর নেতৃত্ব দেন। সমাবেশে বক্তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/মুসা