লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বলিরপোল-নাছিরগঞ্জ সড়কটি অতিবৃষ্টি এবং মেঘনা নদীর অস্বাভিক জোয়ারের পানির চাপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গভীর খালে পরিণত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা। পাশের ক্ষেতের কোমড়পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষজনকে।
এছাড়া একই কারণে উপজেলার চরমার্টিন ও চরকালকিনিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা সড়কগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে বাড়ি যাওয়ার জন্য সাইকেল কাঁধে উঠিয়ে এক শিক্ষার্থীকে সাঁকো পার হতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, নাছিরগঞ্জ-বলিরপোল সড়কের আশপাশে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। সড়কটি ঘেঁষেই পূর্বপাশে খাল রয়েছে। এতে অতিজোয়ারের সময় প্রতিবছর বর্ষায় সড়কটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে কিন্তু অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি এখন প্রায় ৩০ ফুট প্রস্ত খালের আকার ধারণ করেছে। স্কুল শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়-বাড়ি যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছে। আশপাশের কাঁচা সড়কগুলোও বেহাল, এতে সেসব রাস্তাও ব্যবহার অনুপোযোগী। কেউ অসুস্থ হলে তাকে যথা সময়ে হাসপাতালে নেওয়ারও সুযোগ নেই। জরুরি প্রয়োজনে কোথাও যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হওয়ায়।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান বলেন, তীব্র জোয়ারের চাপে রবিবার ভোরে সড়কটি ভেঙে যায়। পরে ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাঙনটি খালে পরিণত হয়েছে। আমাদের মসজিদের রাস্তাটিও ভেঙে গেছে।
এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, সড়ক বিচ্ছিন্নের খবর পেয়ে এলজিআইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল