পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সমুদ্রের ঢেউয়ের তাণ্ডবে সৌন্দর্য বর্ধন ও পর্যটকদের চলাচলের সুবিধার্থে নির্মাণাধীন একটি সড়ক ধসে পড়েছে। গাইডওয়াল ছাড়া প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পরপরই পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও নির্ধারিত সাত কার্যদিবস পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা পড়েনি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক লঘুচাপের প্রভাবে সাগরের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রবল ঢেউয়ের তাণ্ডবে নির্মাণাধীন ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে সবুজ বেষ্টনীর একটি প্রকল্প ক্ষতির মুখে পড়ে। একই সঙ্গে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স, ডিসি পার্ক, স্থানীয় মন্দির ও মসজিদসহ একাধিক স্থাপনা।
স্থানীয়রা বলছেন, এই ধ্বংসযজ্ঞ কুয়াকাটার পর্যটন অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় পর্যটকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
সম্প্রতি কুয়াকাটার ভয়াবহ ভাঙন রোধে আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে কুয়াকাটা সৈকতের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
তাদের অভিযোগ, প্রতিবছর জিওব্যাগ দিয়ে একটি নামমাত্র প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, যা বাস্তবে সৈকত রক্ষায় কার্যকর নয়।
এ অবস্থায় গত রবিবার বিকেলে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. রায়হান কাওছার এবং পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক সাংবাদিকদের জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং কুয়াকাটা পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে সৈকত রক্ষায় একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক