ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘বিগত ১০ বছর বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কে বাধা ছিল। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চায়। এখন এ সম্পর্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এখন বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
এদিকে রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় চীন তদন্তে সহায়তা দেবে কি না-জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ ঘটনায় চীন গভীর শোকাহত। বাংলাদেশ সরকার সহায়তা চাইলে চীন সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’ বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের ত্রিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তান ১২টি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।’ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কখন হবে, সেটা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। আমি বিদেশি কূটনীতিক হিসেবে মন্তব্য করতে পারি না।’ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে কীভাবে বাধা দেওয়া হতো-জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন গত কয়েক বছরের পরিস্থিতি কেমন ছিল তা এখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা অনুধাবন করতে পারেন। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে চান না। তিনি কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, তা উপস্থিত সাংবাদিকরা বোঝেন। ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।