ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভনে এক যুবককে ওমানে পাচার করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক ওমানপ্রবাসীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বরিশালের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডিত ইকবাল হোসেন হাওলাদার (৪২) বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠি গ্রামের মনজুর রহমানের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, একই গ্রামের বাসিন্দা সিপন খান পেশায় একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন। ইকবাল তাকে ওমানে ভালো বেতনের চাকরির লোভ দেখান। প্রলোভনে পড়ে সিপন তার কাছে তিন লাখ টাকা দেন। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ইকবাল সিপনকে ওমানে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে ভালো চাকরি না দিয়ে সিপনকে একটি ঘরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
পরে ওমানে অবস্থানরত কয়েকজন বাংলাদেশির সহায়তায় সিপন দেশে ফিরে আসেন এবং ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অতনু দে রনি তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৩০ মার্চ ইকবাল ও তার ভাই একেএম রাসেল হোসেনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা শেষে বিচারক ইকবাল হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় প্রদান করেন এবং তার ভাই রাসেল হোসেনকে খালাস দেন।
বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা জানান, জরিমানার অর্থ আদায় করা গেলে তা মামলার বাদী সিপন খানকে প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া শুরু থেকেই পলাতক থাকায় ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ