বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ঐক্য অপরিহার্য। নির্বাচন যতই বিলম্বিত হবে, শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নও ততই বিলম্বিত হবে। নির্বাচন ছাড়া শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও বাজারে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে নিহত ঘোষগাঁও নিবাসী শহীদ মোহাম্মদ শাজাহানের প্রথম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা যুবদল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৯ জুলাই ঢাকার মহাখালীতে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন ধোবাউড়ার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের জরিপা পাড়া নিবাসী মোহাম্মদ শাজাহান।
স্মরণ সভায় এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের ঐক্যকে অটুট ও অক্ষুণ্ণ রেখে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথ মসৃণ করতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের শক্তিসমূহে বিভক্তি, অনৈক্য শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন নন-ইস্যুকে ইস্যু বানাতে সমাজে অস্থিরতা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন বিলম্বিত করার সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ যাতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ না হয়, সেজন্য আমাদের সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে। অভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদের সুযোগে ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে। গত কয়েকদিনের ঘটনা তাই প্রমাণ করে। এ সময় তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে কোন ছাড় নয়। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে।
বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের বীরের মর্যাদা দেয়। তাদেরকে বুকে ধারণ করে বিএনপি। জনগণের রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসলে বিএনপি সকল শহীদকে বীরের মর্যাদা দেবে, তাদের এলাকার সংশ্লিষ্ট রাস্তা বা প্রতিষ্ঠানের নাম শহীদদের নামে নামকরণ করা হবে। আহতদের যথাযথ পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা প্রদান করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল