সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তারেকুল ইসলাম তারেক সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই মহল্লার মৃত কাশেম আলীর ছেলে সেলিম রেজা ও বাদল সেখ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম খান।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র—রামদা, ছোরা, লোহার রড—নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে গোলাম মোস্তফাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিখা খাতুন সিরাজগঞ্জ সদর থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
মামলা চলাকালে আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক